সেরা ভালোবাসার গল্প
সেরা ভালোবাসার গল্প ও রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প সম্পর্কে কি আপনি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আমি এই পোস্টে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প বিস্তারিত জানাবো। তাহলে আপনি সেরা ভালোবাসার গল্প ভালোভাবে জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভালবাসা একটি শক্তিশালী আবেগ বা অনুভূতি। ইতিহাস জুড়ে প্রেমের জুটিরা যুদ্ধ এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছে আবার উপন্যাস, সঙ্গীত এবং শিল্পে অনেক মাস্টারপিস তৈরি করেছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরা ভালোবাসার গল্প ও রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প।
সূচিপত্রঃ সেরা ভালোবাসার গল্প
- সেরা ভালোবাসার গল্প
- হীর রাঞ্জা- প্রেম এবং বিচ্ছেদের ট্র্যাজিক স্টোরি
- মঈদিন এবং কাঞ্চনমালা- একটি প্রেমের গল্প যা অনন্ত নদীর মতো প্রবাহিত হয়
- লায়লা-মজনুর ভালোবাসার গল্প
- রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট- বেস্ট লাভ স্টোরি
- শেষ গল্প
সেরা ভালোবাসার গল্প
ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবী চলতে পারেনা। আমরা সবাই জানি পৃথিবী চলে ভালোবাসার মাধ্যমে। এরকম অনেক ভালোবাসার গল্প রয়েছে যা ইতিহাস গড়ে তুলেছে এবং সাথে সাথে আমাদের মন ছুয়ে যায়। আমরা এরকম সেরা ভালোবাসার গল্প পড়তে অনেক পছন্দ করি। তাই আজ আমি এই পোস্টে ভালোবাসার গল্প গুলো নিচে জানাবো।
হীর রাঞ্জা- প্রেম এবং বিচ্ছেদের ট্র্যাজিক স্টোরি
হীর রাঞ্জা অন্যতম জনপ্রিয় পাঞ্জাবি লোককাহিনী। রাঞ্জা, যিনি ছিলেন একজন যাযাবর বাঁশি বাদক, তিনি এসেছিলেন হীরের গ্রামে। হীর রাঞ্জাকে তার তাদের বাড়ির রাখালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তারপর তাদের মধ্যে আসতে আসতে ভালো লাগা থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। রাঞ্জা খুব ভালো বাঁশি বাজাতো। এই বাঁশির সুর শুনে হীর রাঞ্জার বাঁশি বাজানোর প্রেমে পড়েন। এভাবে যতদিন গ্রামবাসীরা তাদের সম্পর্ক না জেনেছিল ততদিন তারা কয়েক বছর ধরে গোপনে তাদের সম্পর্ক করেছিল।
তারপর যখন সবাই তাদের সম্পর্ক জেনে গিয়েছিল তারপর রাঞ্জাকে মারধর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে যাওয়ার পর রাঞ্জা যোগী হয়ে যান এবং যাযাবর জীবন চালিয়ে যান। কিন্তু কয়েক বছর পর, ভাগ্য তাকে হীরের গ্রামে আবার ফিরিয়ে আনে। তারপর তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাইহোক, এটি ভারতের বাস্তব জীবনের প্রেমের গল্পগুলির মধ্যে একটি যা সঠিকভাবে শেষ হয়নি।
আরো পড়ুনঃ ব্রণ দ্রুত অপসারণের দশ উপায়
তাদের বিয়েটা হীরের চাচা মেনে নিতে পারেনি। তাই তাদের বিয়ের একদিন পর, হীরের চাচা হীরের খাবারে বিষ মিশিয়েছিল, যা খেয়ে হীর মরে গিয়েছিল। রাঞ্জা হীরের মৃত্যু সইতে না পেরে তিনিও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এখানেই অসমাপ্ত থেকে গিয়েছিল হীর রাঞ্জার ভালোবাসার গল্প।
মঈদিন এবং কাঞ্চনমালা- একটি প্রেমের গল্প যা অনন্ত নদীর মতো প্রবাহিত হয়
এই কালজয়ী ভালোবাসার গল্প ভারতের ইরুভাঞ্জি নদীর তীরে উত্তর কেরালায় ঘটেছে। মঈদিন এবং কাঞ্চনমালা হল একটি দম্পতি যারা কলেজ চলাকালীন সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে একে অপরের প্রেমে পড়েছিল। তারা এত গভীর প্রেমে ছিল তা ভাবাই যায় না এবং একে অপরের যত্ন অনেক বেশি নিত। মঈদিন কাঞ্চনমালাকে প্রেমের চিঠি লিখেছিলেন, যা একবার ভুলবশত কাঞ্চনমালার মায়ের হাতে ধরা পড়েছিল।
কাঞ্চনমালাকে তারপর কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এরপর তাদের দুজনকে আর কখনও কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি এভাবে প্রায় দশ বছর চলার পর অবশেষে তারা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাড়িতে বিধিনিষেধের কারণে, কাঞ্চনমালা অপেক্ষা করতে এবং তার পরিবারকে মঈদিনের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হন। তার বন্দি জীবন ২৫ বছর ধরে চলেছিল যতক্ষণ না তারা একে অপরের থেকে দূরে থাকতে পারেনি।
১৯৮২ সালের বর্ষা মৌসুমে, যখন মঈদিন এবং কাঞ্চনমালার বয়স ছিল যথাক্রমে 44 এবং 41 বছর তখন তারা অবশেষে ইরুভাঞ্জি নদী পার হয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অনেক বেশি বৃষ্টিতে একটি মর্মান্তিক নৌকা দুর্ঘটনায় ক্যানোতে ভ্রমণকারী অসংখ্য যাত্রী নিহত হয়েছেন। সেখানে একমাত্র ব্যক্তি মঈদিন নদীর ঘূর্ণিতে ডুবে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বাঁচিয়েছিলেন। মঈদিনের লাশ খুঁজে পেতে তিন দিন সময় লেগেছে। মঈদিন এর মৃত্যুর পর কাঞ্চনমালা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছিলেন।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ল্যাপটপে ওয়াইফাই কানেক্ট করবো
তারপর কাঞ্চনমালা আত্মহত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর, কাঞ্চনমালাকে মঈদিনের মা তাকে তার অবিবাহিত স্বামী মঈদিনের বিধবা হিসাবে তার বাকি জীবন কাটাতে বলেছিল। তারপর থেকে, কাঞ্চনমালাই মঈদিনের সবকিছু- একজন সামাজিক কর্মী, একজন পারিবারিক পরামর্শদাতা এবং আরও অনেক কিছু। এরপর থেকে মইদিনের মৃত্যুর কারণে কাঞ্চনমালা কখনো ইরুভাঞ্জি নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেননি। এভাবেই তিনি তার জীবন পার করেছেন।
লায়লা-মজনুর ভালোবাসার গল্প
লায়লা-মজনুর ভালোভাসা ইতিহাস গড়েছিল এবং এই সেরা ভালোবাসার গল্প পড়ার পর অনেক মানুষ তাদের চোখের পানি ফেলেছিল। লায়লা এবং মজনু প্রেমের একটি ক্লাসিক গল্প যা সবচেয়ে কবি নিজামী গাঞ্জাভি এবং মুহাম্মদ ফুজুলি প্রকাশ করেছিলেন। লায়লা এবং কায়স, ছোটবেলা থেকেই প্রেমে পড়েছিল কিন্তু তারা বিভিন্ন কারণে এক হতে পারেনি।
কায়েস (যাকে মাজনুন বলা হয়) লায়লাকে এত বেশি ভালোবাসত যে সে লায়লার প্রতি পাগল ছিল। কিন্তু লায়লার বিয়ে অন্য একজনের সাথে হয়ে যায় এবং তারপর লায়লাকে হারানোর কষ্টে মাজনু একজন সন্ন্যাসী হয়ে ওঠে, লায়লার প্রতি তার গভীর প্রেমের বিষয়ে লিখতে শুরু করে। যদিও এরপর তারা অনেক বার দেখা করার চেষ্টা করে, কিন্তু তারা কখনো তাদের সম্পর্কটা ঠিক করতে পারেনি। এভাবেই চলতে চলতে তারা একদিন মৃত্যু বরণ করে।
রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট- বেস্ট লাভ স্টোরি
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের রোমিও এবং জুলিয়েট সমস্ত গল্পর উপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং অবশ্যই এটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সেরা ভালোবাসার গল্প। এই নাটকটি তার আবেগের জন্য বিখ্যাত এবং এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা নাটকগুলির মধ্যে একটি, শেক্সপিয়রের জীবদ্দশায় দুইবার প্রকাশিত হয়েছে। এই গল্পে বিভিন্ন ধরনের প্রেমও রয়েছে।
নাটকটি এত সুপরিচিত কারণ এটি ভালোবাসার, আবেগের ও অনুভুতির গভীরতম উদাহরণ দেখায়। জুলিয়েট এবং রোমিওর মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রেমের ঘোষণা নাটকটিতে প্রচুর আবেগ যোগ করে, কারণ এটি তাদের প্রেমের যাত্রা শুরুতে সাহায্য করে। বারান্দাতে এসে জুলিয়েট রোমিওকে তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে বলে যে আমার দান সমুদ্রের মতো সীমাহীন ও আমার ভালবাসা গভীর।
আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় চালের গুঁড়ার জাদু - রূপচর্চায় চালের গুঁড়া
জুলিয়েট রোমিওর কাছে প্রকাশ করে যে সে তাকে যত বেশি ভালবাসা দেয়, তার তত বেশি ভালবাসা থাকে এবং তার প্রতি তার ভালবাসা সীমাহীন। রোমিও এবং জুলিয়েট যে আবেগ ভাগ করে তা হিংস্র। রোমিও এবং জুলিয়েট এর ভালোবাসা তাদের বাব মা মেনে নিয়েছিলনা। তাই তারা তাদের বাবা-মায়ের পিছনে বিয়ে করতে যায়। এই আবেগ তাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। রোমিও এবং জুলিয়েট জানত না যে তাদের তীব্র আবেগ তাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
শিরি ফরহাদের প্রেম কাহিনী
নর-নারীর প্রেমের কারনে সভ্যতার সৃষ্টি। প্রেম নামক এক অনন্য সুন্দর অনুভূতি ধারণ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই প্রেমের কারনে গ্রামে, শহরে, দেশে-বিদেশে বন্ধু-বান্ধবের সাথে যে কত যুদ্ধ বিগ্রহ হয় বা হয়েছে তা কে না জানে। প্রতিটি মানুষের জীবনে কোন না কোন সময় প্রেম-ভালোবাসা আসে। যা কিনা জীবনকে বদলে দেয়। মনের মানুষকে নিজের মতো করে না পাওয়ার মতো কষ্টের অনুভূতি পৃথিবীতে আর নেই, তাইতো কবিরা বলেছেন "প্রেমের মরা জলে ডুবে না" যাই হোক এতক্ষণ প্রেম নিয়ে অনেক কথা হলো। এইবার শুনবো ইতিহাসের এক অমর প্রেম কাহিনী। যাদের কথা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে থাকে। শিরি ফরহাদের প্রেমের কাহিনী। এই গল্পে শিরিকে দেখানো হয়েছে রানী বা রাজকন্যা হিসেবে। আর ফরহাদের পরিচয় দিতে গিয়ে কেউ উল্লেখ করেছেন বাঁধ নির্মাতা হিসেবে। আবার কেউ প্রকাশ করেছেন ভাস্কর্য হিসেবে। শিরি ফরহাদকে বলেছিল তুমি আমাকে পাবে যদি তুমি নদীতে বাঁধ তৈরি করতে পারো তাহলে । ফরহাদ শিরিকে পাওয়ার জন্য শিরির কথা অনুযায়ী অসম্ভব কাজকে সম্ভব করার আশায় নেমে পড়ে বাধ নির্মানের কাজে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাঁধ ভেঙ্গে জলের মধ্যে মারা যায় ফরহাদ আর শিরিও এই বাধের দুঃখের পানিতে ঝাপ দিয়ে মারা যায়।
সেরা ভালোবাসার গল্প - শেষ গল্প
ভালোবাসার গল্প পছন্দ করেনা এমন কেউ নেই। সবাই ভালোবাসার গল্প পড়তে পছন্দ করে। তবে ইতহাসে এরকম অনেক ভালোবাসার গল্প রয়েছে যা খুন জনপ্রিয়। আমি এই পোস্টে চেষ্টা করব ইতিহাসের সব সত্যি ঘটনার সেরা ভালোবাসার গল্প গুলো জানানোর চেষ্টা করবো। আজকে ভালোবাসার গল্প এর উপর ভিত্তি করেই হলিউডে, বলিউডে এবং বাংলাতে সব স্থানে সিনেমা তৈরি হয় এবং বেশির ভাগ মানুষ ভালোবাসার সিনেমা পছন্দ করে। উপরের আলোচনা থেকে কিছু সেরা ভালোবাসার গল্প ও রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প জানতে পারবেন। ২২৪৯৮
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url