এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার কি আপনি জানেন? আপনি যদি একজন এয়ারটেল সিম ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার জানতে হবে। কারণ যে কোনো সমস্যায় আপনি এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ কল করে সমাধান নিতে পারেন। তাই এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার ও আরো কিছু তথ্য জানতে নিচে পড়ুন।

আপনি এয়ারটেল সিম ব্যবহার করার সময় কোনো সমস্যায় পড়েন মানে সিমের কোনো সমস্যা হয়। যেমন আপনার সিমে বেশি টাকা কাটছে, আপনি সিমের কোনো সার্ভিস বন্ধ বা খুলতে চান। তাহলে ২৪ ঘন্টা আপনি এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ কল দিয়ে তা সমাধান করতে পারেন। 

সূচিপত্রঃ এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

প্রথমত এয়ারটেল সম্পর্কে জানুন

এয়ারটেল লিমিটেড একটি শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি যা এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে ১৯টি দেশে কাজ করে। এয়ারটেল কোম্পানি মোবাইল ভয়েস ও ডেটা সার্ভিস,  হাই স্পিড ব্রডব্যান্ড লাইন ও আন্তর্জাতিক দূরত্বের সার্ভিস গুলো দিয়ে থাকে। এয়ারটেল বিশ্বের সেরা পারফরম্যান্সকারী ছয়টি প্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে স্থান পেয়েছে। ওয়ারিদ টেলিকম ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে এবং বাংলাদেশের ষষ্ঠ মোবাইল ফোন অপারেটর হয়ে ওঠে। এই সংস্থাটি আবুধাবি গ্রুপ এর মাধ্যমে সমর্থিত ছিল, যা মধ্যপ্রাচ্যের একটি বৃহত্তম গ্রুপ। 

এই গ্রুপটির নেতৃত্ব তে ছিলেন এইচএইচ শেখ নাহিয়ান মাবারক আলী নাহায়া যিনি আরব আমিরাতের উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার মন্ত্রীও। ওয়ারিদ টেলিকম প্রথম তাদের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে ২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে লঞ্চ করে। কিন্তু মোবাইলের বাজার খুবই প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার কারণে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং সেই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে।

আরো পড়ুনঃ ব্রণ দ্রুত অপসারণের দশ উপায়

তারা তাদের মার্কেট শেয়ার বাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ওয়ারিদ টেলিকম পাকিস্তানের সবচেয়ে দ্রুত মোবাইল অপারেটর। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ারিদ পাকিস্তানের পুরো মোবাইল বাজার দখল করে নেয়। বাংলাদেশের বাজার পাকিস্তানি বাজারের তুলনায় বেশি প্রতিযোগিতামূলক যে কারণে বাংলাদেশে সফল হতে খুব কষ্টে পড়ে। ২০১০ সালের জানুয়ারীতে ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড ওয়ারিদ টেলিকম এর বাংলাদেশের 70% অংশীদারিত্ব কিনে নেয়। তারপর থেকে এর নামকরণ এয়ারটেল করা হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত খুব দক্ষতার সাথে এয়ারটেল তাদের সার্ভিস প্রদান করছে তাদের গ্রাহকদের।

এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

বাংলাদেশে যত মোবাইল অপারেটর রয়েছে সব গুলারই নিজ নিজ কাস্টমার কেয়ার রয়েছে। যার প্রত্যেক টার আলাদা আলাদা নাম্বার রয়েছে। তেমনই এয়ারটেল এর ও একটা এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার রয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকদের সকল অভিযোগ বা সমস্যার কথা শোনা হয় এবং সমাধান করা হয়। তাহলে আপনি যদি সিন নিয়ে যে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েন তাহলে ২৪ ঘন্টার যে কোনো সময় এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ কল দিতে পারেন।

এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার হল ১২১ শুধু মাত্র যারা এয়ারটেল সিম ব্যবহার করেন তাদের জন্য। আপনার যে কোনো সমস্যায় আপনি ১২১ এ কল দিতে পারেন। আর যারা অন্য সিম থেকে এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারে কথা বলতে চান যেমন, গ্রামীন, বাংলালিংক ইত্যাদি। তাদের জন্য এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার হল, ০১৬৭৮৬০০৭৮৬। এছাড়াও আপনি যদি ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চান তাহলে এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার এর ইমেইল আইডি হল- airtel.service@robi.com.bd।

এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারের সাথে কিভাবে কথা বলবেন

তাহলে চলুন এখন জেনে নিই এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারের সাথে কিভাবে কথা বলবেন। প্রথমত আপনি যদি এয়ারটেল সিম ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে ১২১ এ কল দিবেন আর যদি অন্য সিম থেকে কথা বলতে চান তাহলে ০১৬৭৮৬০০৭৮৬ কল দিবেন। আপনি কল দিলে একজন এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনার কল ধরবে। 

তারপর আপনার থেকে আপনার সমস্যার কথা জানতে চাইবে। আর যদি আপনি এমনি কোনো তথ্য জানতে চান নাকি তা জিজ্ঞেস করবে। আপনি যদি এয়ারটেল সিমের কোনো সমস্যার জন্য কল দিয়ে থাকে তাহলে আপনার সিমটি যাচাই করার জন্য আপনার থেকে কিছু তথ্য জানতে চাইবে। যেমন আপনার নাম, ভোটার আইডি নাম্বার এবং আপনার জন্ম সাল বা তারিখ।

আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট ডিলিট বা বন্ধ করার পদ্ধতি - নগদ একাউন্ট বন্ধ করার পদ্ধতি

আপনি যদি এই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন তাহলে তারা আপনার সমস্যার সমাধান করে দিবে। আর যদি আপনি কোনো তথ্য জানার জন্য কল দেন তাহলে সরাসরি আপনাদের সেই তথ্য দিয়ে দিবে। তবে আপনার সিমের সমস্যা যদি তাদের দিয়ে ঠিক না হয় তাহলে আপনাকে কাছের কোনো এয়ারটেল কাস্টমার পয়েন্টে যেতে বলবে অথবা  সেই এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার দিয়ে দিবে।

প্রিপেইড সিমের তুলনায় এয়ারটেল পোস্টপেইডের সুবিধা

একটি পোস্টপেইড বা প্রিপেইড সিম নেওয়ার সময় বেশিরভাগ গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে। উভয় সিম ব্যবহার স্পষ্টতই ভাল এবং অসুবিধা আছে, কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেক প্রিপেইড গ্রাহক আছেন যারা প্রতি বছর পোস্টপেইড সিমে সুইচ করে। আপনি যদি শীঘ্রই যে কোনো সময় একটি পোস্টপেইড নতুন সিম নিতে যাচ্ছেন, তাহলে Airtel পোস্টপেইড সিমের সুবিধার জন্য নিচের এই তথ্য অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে৷

এখানে আমরা পোস্টপেইড সিমের কিছু প্রধান সুবিধার তালিকা করছি যা আপনাকে আপনার প্রিপেইড সিম এয়ারটেল পোস্টপেইডে রূপান্তর করার জন্য আপনার মন তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেঃ 

ডেটা এবং কলিংঃ প্রিপেইডের তুলনায় পোস্টপেইড সিমের প্রধান সুবিধা হল সীমাহীন ডেটা। দৈনিক ডেটার একটি নির্দিষ্ট সীমা ব্যবহার করার বিষয়ে আপনাকে বিরক্ত হতে হবে না। আপনি কোনো সীমা ছাড়াই আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারেন।

প্রচুর বিনোদনের উপায়ঃ INR 499 এর একটি পোস্টপেইড সিমের মাধ্যমে, আপনি তিন মাসের জন্য Netflix-এ অ্যাক্সেস, এক বছরের অ্যামাজন প্রাইম সাবস্ক্রিপশন, এক বছরের জন্য ZEE5, হ্যান্ডসেট সুরক্ষা এবং আরও অনেক কিছু পাবেন। যদি আমরা এই সাবস্ক্রিপশনগুলি আলাদাভাবে নিই, তাহলে এর মূল্য হবে INR 3000৷ এটি আপনি প্রিপেইড এর মাধ্যমে নিতে পারবেন না৷

শুল্কের কোনো ওঠানামা নেইঃ প্রিপেইড প্ল্যানের শুল্ক অনেক ক্ষেত্রে ওঠানামা হতে দেখা গেছে। তবে, পোস্টপেইড প্ল্যানগুলিতে এটি হয় না। একবার আপনি একটি পোস্টপেইড প্ল্যান নিলে, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য এমনই থাকবে। এছাড়াও যদি কোনো কিছু পরিবর্তন হয় তাহলে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে।

অ্যাড-অন সংযোগঃ Airtel পোস্টপেইড নতুন সংযোগ পরিকল্পনা গ্রাহকদের তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য অ্যাড-অন সংযোগ এর অনুমতি দেয়। এটি অনেক গ্রাহকের জন্য অর্থ সাশ্রয় করে কারণ একটা থেকে সবাই চালাতে পারে।

জরুরি অবস্থার জন্য আরও ভালঃ যে সমস্ত গ্রাহকরা কখনও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন যেখানে তাদের একটি জরুরি কল করতে হবে কিন্তু প্রয়োজনীয় টক টাইম নেই তারা কল করার জন্য সর্বদা জরুরি সুবিধা পাবেন। যদিও প্রিপেইড সিমগুলিও এই উপায়টি দিতে পারে কিন্তু সেখানে তাড়াতাড়ি মেয়াদ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷

আপনার বাজেট বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কমঃ পোস্টপেইড সিমের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের মাসিক খরচ এবং প্রয়োজনীয়তা মাপ করতে পারেন যাতে তারা বিলের পরিমাণের একটি লিমিট নির্ধারণ করা যায় ফলে খরচ কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ ২টি উপায়ে কিভাবে বিকাশ পিন রিসেট করতে হয় জেনে নিন

এয়ারটেল হল টেলিকমিউনিকেশন ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি যা গ্রাহকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করে, যেন গ্রাহকরা খুশি থাকে এবং সন্তুষ্ট রাখতে অতিরিক্ত বিকল্প গুলো দিয়ে থাকে৷ যে গ্রাহকরা অনলাইনে এয়ারটেল পোস্টপেইড নতুন সংযোগে যেতে চান তাদের জন্য, এয়ারটেল প্রচুর আকর্ষণীয় প্ল্যানও অফার করে। পোস্টপেইড প্ল্যানগুলি গ্রাহকদের জন্য আরও ভালো বলে মনে করা হয়েছে যারা কিছু টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।

এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার - শেষ কথা

বর্তমানে মোবাইল সবার হাতে হাতে এবং একেক জনের সিম ও আছে কয়েকটা করে। সেরকমই আপনার কাছে যদি একটা এয়ারটেল সিম থেকে থাকে আর আপনি এটা ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার যদি এয়ারটেল সিম ব্যবহারে কোনো সমস্যা হয় তার জন্য আপনি এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ কল করে সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি এয়ারটেল সম্পর্কে কিছু তথ্য তাদের থেকে জানতে চান তাহলে আপনি তাদের এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ কল করে জানতে পারেন। যা আমি উপরে খুব ভালোভাবে জানিয়েছি। ২২৪৯৮

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url