শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

 

শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এ বিষয়টি সকলের জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। যাদের দেহে কোন কারণে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে গেছে তারা চাইলে শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে দেহে শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন। আজকের এই আর্টিকেলে শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় আপনাদের সামনে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করব। অতএব, পোস্টটি এখনই পড়ে নিন। 
দেহে শুক্রাণু সংখ্যা কমে গেলে প্রজননে বহুবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়। দেশের শুক্রানুর সংখ্যা অত্যাধিক পরিমাণ কমে যাওয়াকে অলিগোস্পার্মিয়া বলে অভিহিত করা হয়। এটি এমন এক পরিস্থিতি যেখানে প্রতি মিঃ লিঃ তে ১৫ কোটি শুক্রানু কমে যেতে পারে। এই পোস্টটি পুরোটা পড়লে আপনারা শুক্রানু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি শুক্রাণু বৃদ্ধির ব্যায়াম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে এখনি পুরো পোস্টটি পড়ে ফেলুন।

পোস্ট সূচিপত্র - শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় জানুন

শুক্রাণু তৈরি হতে কত দিন সময় লাগে 

ডিম্বাণুর সাথে শুক্রাণু মিলিত হওয়ার মাধ্যমেই একটি নতুন প্রাণ জন্ম লাভ করে। তাই পুরুষের দেহের জন্য শুক্রাণু উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ ভেদে একজন ব্যক্তির দেহের শুক্রানু উৎপাদন হতে ৭২ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। একজন শিশু যখন বয়সন্ধিকালে পা দেয় তখন থেকেই তার শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং যতদিন যৌবন থাকে ততদিন এই শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় কি কি সে সম্বন্ধে বিশেষ কিছু দরকারি তথ্য জানতে পারবেন। 

দেহে শুক্রাণু কমে যাওয়ার কারণ 

বিভিন্ন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে দেহের শুক্রানুর সংখ্যা কমে যেতে পারে। কি কি প্রধান কারণে দেহে শুক্রাণু সংখ্যা কমে যায় এখন সে বিষয়টি উল্লেখ করবো। তাই শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় জেনে নেওয়ার পূর্বে দেহে শুক্রাণু কমে যাওয়ার কারণগুলো জেনে নিন। 
  • গরম পানিতে গোসল করা, টাইট অন্তর্বাস ব্যবহার করা, অধিক তাপমাত্রায় বসবাস করা, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে দেহের শুক্রাণুর সংখ্যা অত্যাধিক হারে কমে যেতে পারে। 
  • ধূমপান ও মদ্যপান করার কারণেও দেহে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যেতে দেখা যায়। 
  • শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে এটি শুক্রাণু উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। 
  • ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি ও রেডিও তরঙ্গের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে দেহে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। 
  • দেহে টেস্টোস্টেরন কমানোর জন্য দায়ী খাবারের কারণেও শুক্রাণু কমে যায়। 

শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় 

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই শুক্রানু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তারই প্রেক্ষিতে বলতে চাই আপনারা চাইলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে দেহে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেন। এবার শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় গুলো এক নজরে জেনে নিন। 
  • রসুন: রসুন আমাদের দেহে প্রাকৃতিক কাম উৎপাদক রস হিসেবে কাজ করে। রসুনে এলিসিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা শুক্রাণু উৎপাদন বৃদ্ধি করে, শুক্রাণুর সহনশীলতা ও রক্ত সঞ্চালনের গতিকে বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন খাবারের সাথে কয়েক টুকরো করে রসুন খেলে দেহে শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। 
  • অশ্বগন্ধা: অশ্বগন্ধা দেহে বীর্যের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শুক্রাণুর গতিশীলতাকে বৃদ্ধি করে। এছাড়াও অশ্বগন্ধা দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। একটি সমস্ত শরীরকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রেখে দেহের সকল অভ্যন্তরীণ কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। দেহের শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য তাই অশ্বগন্ধা পাউডার এর সাথে দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • মাকা রুট: কালো বৈচিত্র্য সম্পন্ন এক ধরনের মূল যা শুক্রাণু উৎপাদনে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে থাকে। একটি নিয়মিত খেলে দেহে শুক্রাণুর মাত্রা বহু গুণে বেড়ে যাবে। সেজন্য প্রত্যেকদিন খাবার পরে এক থেকে দুই চামচ মাখা রূট খেতে পারেন। 
  • স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ: দেহে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

শুক্রাণু বৃদ্ধির ব্যায়াম 

প্রিয় বন্ধুরা আপনারাই ইতোমধ্যে শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। দেহের শুক্রানু বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে শুক্রাণু বৃদ্ধির কিছু কার্যকরী ব্যায়াম রয়েছে। এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করলে আপনারা শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে পারবেন। তবে চলুন এখন শুক্রাণু বৃদ্ধির ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি। 
  • চিকিৎসকদের গবেষণালবদ্ধ ফলাফল থেকে জানা যায় প্রতিদিন আধাঘন্টা সময় ধরে অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে দেহে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। একটানা ১৬ সপ্তাহ এভাবে শরীরচর্চা করলে দেহের শুক্রানু বৃদ্ধি পাবে। 
  • শুক্রানু বৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক হলো ঘুম। ব্যায়াম করার পর  প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্তত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। 
  • সকল প্রকার মানসিক চিন্তা মুক্ত থেকে প্রত্যেকদিন সকালে স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করা যেতে পারে। এছাড়াও সাঁতার কাটা, বাইসাইকেল চালানো প্রভৃতি শুক্রানু বৃদ্ধির ব্যায়াম এরই অংশ। 

আমাদের শেষ বার্তা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে নিশ্চিতভাবেই শুক্রাণু বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি শুক্রানু বৃদ্ধির ব্যায়াম সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা অর্জন করেছেন। আশা করি এই পোস্টে দেখানো টিপসগুলো আপনার দেহের শুক্রাণু বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়ক হবে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস প্রকাশ করে থাকি। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এই পোস্টগুলো নিয়মিত পড়ে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ। @23891

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url