খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত - খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান
মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতাখুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি যদি কখনো খুলনা ঘুরতে যেতে চান তাহলে খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। এতে করে আপনার ঘোরাফেরা করার সহজ হয়ে যাবে।
খুলনা জেলার নাম শুনিনি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই এই আর্টিকেলে আমরা খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত এবং খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান গুলো সম্পর্কে জেনে নেব।
পেজ সূচিপত্রঃ খুলনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত - খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান
- খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত
- খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান
- খুলনা জেলার পূর্বের নাম
- খুলনার বিখ্যাত খাবার
- খুলনার বিখ্যাত মিষ্টি
- খুলনায় অবস্থিত নদীর নাম
- খুলনার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
- সুন্দরবন কোথায় অবস্থিত
- খুলনা জেলার বিখ্যাত খাবার চুইঝাল
- আমাদের শেষ কথা
খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত
খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত এ বিষয়ে আপনাদের জানাবো। তার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোপুরি করতে হবে। যারা খুলনায় বসবাস করেন এবং যারা শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের অবশ্যই খুলনা সম্পর্কে জানা জরুরী তাই খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত এ বিষয়ে আপনাদের জানতে হবে। খুলনা বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম জেলা বা নগরী। এখানে খাবার থেকে শুরু করে রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান যা খুলনায় বিখ্যাত স্থান দখল করে আছে।
আরো পড়ুনঃ শরীরের যেসব উপকার করে জলপাই
বাংলাদেশের অন্যতম নগরীর মধ্যে খুলনা একটি কারণ এখানে রয়েছে বিশাল বিশাল শিল্প কারখানা এর জন্য একে শিল্পনগর হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। খুলনা বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি নগরী। খুলনায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নামিদামি সব স্কুল কলেজ। বাংলাদেশের মোট ছয়টি বিভাগ রয়েছে তার মধ্যে একটি খুলনা।
খুলনা জেলার আশেপাশে বিভিন্ন জেলা রয়েছে। উত্তরও রয়েছে যশোর জেলা দক্ষিনে ভোলা ও পূর্বে বাগেরহাট এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। খুলনা জেলা অন্য সব জেলার চাইতে সব চাইতে সুন্দর ও বিভিন্ন দিক দিয়ে বিখ্যাত কারণ এ জেলায় রয়েছে বঙ্গোপসাগর যা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক ছুটে আসে। বাংলাদেশের এটি একমাত্র সাগর। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং আরো রয়েছে হরেক রকমের বাহারি বাহারি খাবার যেগুলো খুলনায় অনেক সাথে অর্জন করেছে।
খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান
খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে আপনাদের জানাবো কারণ যারা খুলনা ভ্রমণে যেতে চান তাদের অবশ্যই খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ খুলনা বাংলাদেশ এই অবস্থিত আর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া আমাদের জরুরী। তাই খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত এবং খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সুন্দরবনঃ পৃথিবীর বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন যা খলনা বিভাগের দক্ষিণাঞ্চে অবস্থিত।খুলনা বিখ্যাত স্থান বলতে গেলে প্রথমেই মাথায় আসে সুন্দরবনের কথা। এটি পৃথিবীর সবচাইতে বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বল যা বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে অবস্থিত। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে প্রতিবছর প্রায় হাজার হাজার পর্যটক দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসে।
খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরঃ খুলনা জেলার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘর এটি। এটি খুলনা জেলার খুলনা সদর উপজেলায় অবস্থিত। জাদুঘরটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। এছাড়াও জাদুঘরটিতে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধিঃ খুলনার একটি বিখ্যাত স্থান হিসেবে বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি পরিচিত এটি খুলনা জেলার রূপসা নদীর পূর্বপাশে বাগমারা গ্রামে অবস্থিত। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারের হাতে বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান। এ বীর মুক্তি সোনার সমাধি সুন্দর মনোরম একটি স্থান যার চারি পাশে রয়েছে ফুলের বাগান এবং সামনে রয়েছে একটি সুন্দর মসজিদ।
খান জাহান আলী সেতুঃ খুলনার বিখ্যাত স্থান হিসেবে খান জাহান আলী সেতু পরিচিত। এটি খুলনার রুপসা নদীর ওপরে অবস্থিত এর জন্য এগিয়ে রূপসা সেতু বলা হয়। খান জাহান আলী সেতু ২০০৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৬০ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ ১৬.৪৮ মিটার। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী এ বিখ্যাত স্থানটি গ্রহণ করতে আসেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শশুর বাড়িঃ এটি খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলায় দক্ষিণডিহি গ্রামে অবস্থিত। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিণী মৃণালিনী দেবীর পিতা মাতার বাড়ি। এ বাড়িতেই ১৮৯০ সালে নির্মাণ হয়। দক্ষিণডিহি ঠাকুরবাড়ি প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন ও বিখ্যাত স্থান হিসেবে পরিচিত।
১৯৭১ জেনোসাইড-টর্চার আর্কাইভ অ্যান্ড মিউজিয়ামঃ একটি জাদুঘর যার ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ঘটনার বিবরণ বহন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের সকল নিদর্শন রয়েছে এতে। জাদুঘরটি যুদ্ধের ভয়াবহতার জলন্ত প্রমাণ এ জাদুঘরে রয়েছে।
গিলাতলা পাবলিক চিড়িয়াখানাঃ গিলাতলা পাবলিক চিড়িয়াখানা এটি ছোট হলেও এর খ্যাতি রয়েছে অনেক। ছোট এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সিংহ, বাঘ, হাতি এবং বানর সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। পরিবারের সময় কাটাতে ও শিশুদের বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতে চিড়িয়াখানা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
খুলনা জেলার পূর্বের নাম
খুলনা জেলার পূর্বের নাম কি? এ বিষয়ে আমাদের জানতে হবে কারণ এটি সাধারণ জ্ঞান যা জানা প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জন্য জরুরী। যারা খুলনা জেলায় বসবাস করেন তারা অনেকেই হয়তো খুলনা জেলার পূর্বের নাম জানেন এবং অনেকেই জানেনা। তাহলে চলুন খুলনা জেলার পূর্বের নাম কি ছিল তা জেনে নিন।
খুলনা জেলার পূর্বের নাম ছিল জাহানাবাদ। খুলনা ছিল প্রাচীন বঙ্গ ও সমতট ভূমির অংশ এবং সে সময় বল্লাল সেন রাজা ছিলন বল্লাল সেনের রাজত্বকালে সেন রাজ বংশের একটি অংশ হয়ে ওঠে এবং এর নাম ছিল জাহানাবাদ। খুলনা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদী অবস্থিত এবং সেখানে খুল খুল্লেনেশ্বরী নামে একটি মন্দির ছিল এবং সে মন্দির অনুসারে নাম রাখা হয়েছিল খুলনা।
খুলনার বিখ্যাত খাবার
খুলনার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে আমরা অনেকেই কমবেশি জানিনা যারা খুলনায় বসবাস করেন তারা খুলনার বিখ্যাত খাবার গুলো কে থাকেন এবং যারা খুলনা জেলার বাইরে অবস্থান করে তারা খুলনার বিখ্যাত খাবার গুলো সম্পর্কে জানতে চাই কারণ যে কোন সময় খুলনায় বেড়াতে গেলে অবশ্যই ভ্রমণের পাশাপাশি খুলনার বিখ্যাত খাবারগুলো আপনি টেস্ট করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বৃহত্তম অঞ্চলের মধ্যে খুলনায় একটি খুলনা অঞ্চলে রয়েছে নামিদামি বিভিন্ন বিখ্যাত সব খাবার। নামি দামি হোটেল থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটের ফুটপাতেও এ বিখ্যাত খাবার গুলো মানুষ ভজন বিলাসী মানুষদের মানুষদের কাছে পরিবেশন করেন। বিখ্যাত সব খাবার গুলো খুলনায় খেতে এলে অবশ্যই আগে থেকে আপনাকে জানতে হবে এ খাবারের সম্পর্কে তাহলে আপনি আগে থেকে কোন সমস্যায় পড়বেন না।
সেমাই পিঠাঃ খুলনার ঐতিহ্যবাহী খাবার সেমাই পিঠা এবং যারা সেখানে স্থানীয়ভাবে বসবাস করেন তাদের কাছে এটি শোয়াই পিঠা নামে পরিচিত। এ পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর খেতে অনেক সুস্বাদু এবং সেখানকার জনপ্রিয় একটি পিঠা। খুলনায় কোন অতিথি বেড়াতে গেলে তাকে সেমাই পিঠা পরিবেশন করা হয়।
সেখানে রাতে ভাতের বদলে বা দুপুরে ভাতের বদলে সেমাই পিঠা খেতে দেওয়া হয়। সেমাই পিঠা তৈরির জন্য চালের গুঁড়ো ভালো করে খামির করে কলে ঢুকিয়ে নুডুলসের মতো লম্বা লম্বা হয়ে পেঁচি পেঁচিয়ে পড়ে এবং তাকে গরম পানিতে ভাপ দিয়ে রোদে শুকাতে দেওয়া হয় এর পরে গুড় অথবা চিনি দিয়ে রান্না করা হয়।
ইন্দ্রমোহনের রসগোল্লাঃ খুলনার একটি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন ইন্দ্রমোহনের রসগোল্লা। মিষ্টি কেনা পছন্দ করেন এবং সেই মিষ্টি যদি হয় কোন জেলার বিখ্যাত মিষ্টি তাহলে তো কোন কথাই নেই। খুলনার বিখ্যাত এ মিষ্টি ইন্দ্রমোহনের রসগোল্লা স্বাদ এতই সুস্বাদু যে যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন না তারাও অনায়াসে এই মিষ্টিগুলো খেয়ে ফেলতে পারবেন। খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে তৈরি হয় ইন্দ্রমোহনের রসগোল্লা।
এক টাকার পুরিঃ খুলনার বিভিন্ন বিখ্যাত খাবারের মধ্যেও রয়েছে এক টাকার পুরি যা বর্তমান বাজারে পাওয়া যায়। এক টাকার এই পুরির স্বাদ অতুলনীয়।
মান্নান এর চটপটি/ফালুদাঃ প্লেট চটপটির দাম ৩৫ টাকা। এ চটপটি অতুলনীয় যারা খেতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় জমায়। এ চটপটি দোকান কে সবাই এক নামে চিনে।
চুকনগর এর খাসিঃ খুলনায় চুকনগর এর খাসি মাংস অন্য যে কোন হোটেলের খাসির মাংস চাইতেও ভিন্ন। এক খাসির মাংস খেতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ভিড় জামাই। কারণ এর স্বাদ অতুলনীয় যা অন্য কোন হোটেলে গেলে পাওয়া যায় না। চুকনগর এর খাসি মাংস খেতে হলে খুলনায় অবশ্যই যাবেন।
খুলনার বিখ্যাত মিষ্টি
খুলনার বিখ্যাত মিষ্টি সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। কারণ যারা মিষ্টি প্রিয় মানুষ এবং মিষ্টি ভোজন বিলাসী তাদের অবশ্যই খুলনায় গেলে খুলনার বিখ্যাত মিষ্টি সম্পর্কে জানা চাই। কারণ খাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়া যেন একটি ঐতিহ্যবাহী রীতি যা অনেকেই মেনে থাকেন এবং অনেকেই যে কোন সময় মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। তাই খুলনার বিখ্যাত মিষ্টি সম্পর্কে চলুন জেনে নিন।
খুলনার বিখ্যাত মিষ্টি ইন্দ্রমোহনের সুইট রসগোল্লা। খুলনায় পাঁচ ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রয়েছে যার মধ্যে ইন্দ্রমোহনের সুইচ রসগোল্লা বিখ্যাত এটি এমনই সুস্বাদু এবং খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে তৈরি যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন না তারা অনায়াসে কয়েকটি মিষ্টি খেয়ে ফেলতে পারবেন। খুলনার ঐতিহ্যবাহী শুধু একটি দোকানেই এ আসল ও ভালো মানের মিষ্টি পাবেন। ঐতিহ্যবাহী এ দোকানে ১৩৭ বছর ধরে বংশ পরম্পরা অনুযায়ী কলা পাতায় মিষ্টি পরিবেশন করা হয়।
খুলনা শহরে বেড়াতে গেলে অনেকেই এই দোকানে একটু হলেও ঘুরে আসেন এবং খেয়ে আসেন খুলনার সেই ইন্দ্রমোহনের সুইট রসগোল্লা। এর রসগোল্লা এতটাই বিখ্যাত যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূত মিষ্টির টেস্ট নিয়েছেন। এটি খুলনায় মহানগরের বড় বাজারে ১৭ নম্বর হেলা তোলা রোডে এই দোকানটি অবস্থিত এবং এ দোকানটি প্রতিষ্ঠাতা ছিল ইন্দ্রমোহন দে।
খুলনায় অবস্থিত নদীর নাম
খুলনায় অবস্থিত নদীর নাম সম্পর্কে জানব। খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম একটি নগরী। ঢাকা-চট্টগ্রামের পরে খুলনা বৃহত্তম নগরী হিসেবে পরিচিত। শিক্ষা সংস্কৃতি ও দর্শনীয় স্থান বিভিন্ন বিখ্যাত নিদর্শন নিয়ে এই নগরী অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে। খুলনা শহরটি ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরের মধ্যে খুলনা অন্যতম। বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে যে নদী গুলো খুলনা শহরের প্রাণ।
খুলনার সবচাইতে উল্লেখযোগ্য নদী হল রুপসা ও ভৈরব। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু নদী। নদীগুলোকে ঘিরে বেঁচে থাকে খুলনা শহরের হাজারো জেলে। তাই খুলনায় অবস্থা নদীর নাম গুলো কি কি চলুন জেনে।
- ভৈরব নদী
- রূপসা নদী
- শিবসা নদী
- ভদ্রা নদী
- পশুর নদী
- আঠারোবাঁকি নদী
- ভদ্রা নদী
- বুড়িভদ্রা নদী
- শৈলমারী নদী
- তেলিগঙ্গা-ঘেংরাইল নদী
- অর্পণগাছিয়া নদী
- কুঙ্গা নদী
- মারজাত নদী
- মানকি নদী
- বল নদী
- নলুয়া নদী
- ঘনরাজ নদী
- কাজিবাছা নদী
- ডাকাতিয়া নদী
- শাকবাড়িয়া নদী
- কাঁকরী নদী
- ঝপঝপিয়া নদী
- কপোতাক্ষ নদ
- নবগঙ্গা নদী
- চিত্রা নদী
খুলনার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
খুলনার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে। খুলনায় যারা বসবাসরত রয়েছে তারা অনেকেই হয়তো খুলনার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে জানেনা। যারা খুলনা জেলায় বা বিভাগে জন্মগ্রহণ করেছে এবং কৃতিত্ব রেখেছে এমন ব্যক্তিত্বের পরিচয় জানতে চেয়েছেন। তাই খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত এবং খুলনা জেলার বিখ্যাত স্থান এবং খুলনার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে জেনে নিন।
মাইকেল মধুসূদন দত্তঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি কবি ছিলেন। এর পাশাপাশি তুমি নাট্যকার এবং প্রহসন রচকার হিসাবেও কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম একটি ব্যক্তিত্ব। তিনি জন্মগ্রহণ করেন গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু কায়স্থ পরিবারে।
ফকরুল আহমেদঃ ফখরুল আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত কবি। ফররুখ আহমদের জন্ম ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন যশোর জেলার অন্তর্গত মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে।
মোহাম্মদ লুৎফর রহমানঃ মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ছিলেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক, সম্পাদক ও সমাজকর্মী। এছাড়াও ডাক্তার লুৎফর রহমান নামে ও তার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৯ সালে বর্তমান মাগুরা জেলার পরনান্দুয়ালী গ্রামে।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ প্রমোট করার নিয়ম
সৈয়দ আলী আহসানঃ সৈয়দ আলী আহসান খ্যাতিনামা কবি ছিলেন। তিনি কবিতা লিখার পাশাপাশি সাহিত্যিক, কবি, সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষকতা করতেন। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। সৈয়দ আলী ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ বর্তমান মাগুরা জেলার আলোকদিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ঃ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় একজন প্রখ্যাত কবি ছিলেন। কোভিদ পাশাপাশি তিনি রাসায়নিকবিদ, শিক্ষক এবং দর্শনকও ছিলেন। প্রফুল্ল চন্দ্র রায় নামের পাশাপাশি তিনি পি সি রায় নামেও পরিচিত। এছাড়াও তিনি বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসুর সহকর্মী ছিলেন। বাংলাদেশের খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাডুলি গ্রামে ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
সুন্দরবন কোথায় অবস্থিত
সুন্দরবন কোথায় অবস্থিত এ বিষয়ে জানতে পারবেন আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে। সুন্দরবন বাংলাদেশের বৃহত্তম একটি বন যা ম্যানগ্রোভ মানেও পরিচিত। সুন্দরবনের আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এবং এটি যৌথভাবে বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্তে অবস্থিত। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলার অংশ নিয়েই বাংলাদেশের সুন্দরবন গঠিত।
খুলনা জেলার বিখ্যাত খাবার চুইঝাল
খুলনা জেলার বিখ্যাত খাবার চুইঝাল এ বিষয়টি আমরা অনেকেই জানি। সাধারণত বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় চুইঝাল পাওয়া যায় কিন্তু আপনি যদি খুলনায় বেড়াতে যান তাহলে এখানে দেখতে পাবেন বিভিন্ন খাবারের সাথে চুই ঝাল যুক্ত করে দেওয়া হয়। সাধারণত খুলনার মানুষের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে চুইঝাল রয়েছে।
খুলনায় বিখ্যাত একটি খাবারের মধ্যে একটি চুইঝাল যা বিভিন্ন মাংস দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয় চুইঝাল খুলনায় বেশ জমজমাট ভাবে রান্নার পরিবেশন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে চুইঝাল দিয়ে মাংস পড়া রান্না খেলে জিভে জল চলে আসে এবং এর স্বাদ অনেকটাই সুস্বাদু। খুলনায় এলে চুই ঝাল দিয়ে খাসির মাংস বা গরুর মাংস দিয়ে রান্না করা চুইঝালের স্বাদ পেতে হলে আপনাকে খুলনায় আব্বাস হোটেলে যেতে হবে কারণ সেখানকার চুই ঝাল হাসি দিয়ে রান্না করা অনেক টেস্ট হয়ে থাকে।
আমাদের শেষ কথা
খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনি যদি খুলনা জেলা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। বিশেষ করে যারা খুলনা জেলায় বসবাস করে সাধারণত তাদের জন্য এই বিষয় গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী। যেহেতু বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি জেলা খুলনা তাই এর অনেক ইতিহাস এবং ঐতিহ্য রয়েছে।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। 25427
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url