সিরাজউদ্দৌলা নাটক - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু
সিরাজউদ্দৌলা নাটক অনেকেই দেখেছে। সাধারণত আগে যে সকল নাটক জনপ্রিয় ছিল সেগুলোর মধ্যে সিরাজউদ্দৌলা নাটক অন্যতম প্রধান। বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি নাটক হল সিরাজউদ্দৌলা নাটক। সাধারণত আমরা ছোটবেলায় অনেকেই এই নাটক দেখেছি। আজকের এই আর্টিকেলে সিরাজউদ্দৌলা নাটক সম্পর্কে বা সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানাবো।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সিরাজউদ্দৌলা নাটক সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ সিরাজউদ্দৌলা নাটক - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব বা বিষয়বস্তু
- সিরাজউদ্দৌলা নাটক
- সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু
- সিরাজউদ্দৌলা নাটক এর লেখক
- সিরাজউদ্দৌলা নাটক সংক্ষিপ্ত
- সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র
- উপসংহার
সিরাজউদ্দৌলা নাটক
আমরা যারা আগে নাটক দেখতে পছন্দ করতাম সাধারণত তারা অবশ্যই একবার না হলেও সিরাজউদ্দৌলা নাটক দেখেছি। একসময় অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিল এই সিরাজউদ্দৌলা নাটক। যাদের বাসায় টিভি ছিল সাধারণত তারা সবাই এই নাটকটি দেখতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য জানিনা।
আরো পড়ুনঃ যশোর জেলার পৌরসভা কয়টি
সাধারণত আমরা যারা পড়াশোনা করেছি তারা কমবেশি সিরাজউদ্দৌলাকে চিনি। তিনি ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। সাধারণত সিরাজউদ্দৌলা নাটক তৈরি করা হয়েছে ১৭৫৬ থেকে ১৭৫৭ সালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে। এই নাটকের মূল চরিত্র ছিল সিরাজউদ্দৌলা। ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে জয়লাভ করার পরে মীরজাফর একটি সপরিষদ দরবারের আয়োজন করে।
সাধারণত এই আসরে তিনি স্পষ্ট সবাইকে বলে দেয় যে যদি ক্লাইভ সাহেব হাত ধরে তুলে না দেই তাহলে তিনি সিংহাসনে আরোহন করবেন না। সাধারণত এরপরে ক্লাইভ হাত ধরে মীরজাফরকে সিংহাসনে বসিয়ে দেই। এরপর থেকে শুরু হয় ইংরেজদের শাসনামল। সাধারণত এই বিষয়গুলোকেই সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সম্পূর্ণ তুলে ধরা হয়েছে।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু
আমরা যারা এই নাটক দেখেনি সাধারণত তাদের সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু জেনে রাখা উচিত। কারণ এখানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু নাটকটি অনেক বড় এবং সম্পূর্ণ নাটক দেখতে অনেক সময় এর ব্যাপার রয়েছে। যেহেতু অনেকের কাছে এই সময় গুলো নেই তাই অবশ্যই আমাদেরকে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে হবে।
সিরাজউদ্দেলা নাটকে ১৭৫৬ সাল থেকে ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিশেষ ঘটনাগুলোর অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। ১৭৫৬ সালের ১৯ জুন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সেনাবাহিনী ইংরেজদের ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ প্রথমে আক্রমণ করে। সাধারণত তখন ইংরেজ বাহিনারা অনেক ভীত সন্তুষ্ট হয়ে পড়ে এর মধ্যে ক্যাপ্টেন ক্লেন মুষ্টিমেয় গােলন্দাজ নিয়ে কামান চালাচ্ছেন এবং অন্য সৈন্যদের প্রাণপণে যুদ্ধ করার জন্য অনুপ্রাণিত করছেন।
এই যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধ করার আদেশ দেওয়ার অনুরােধ করেন এরপরে ক্লেটন বাঙ্গালীদের জন্য দেওয়া বক্তব্যে আপত্তিকর মন্তব্য করায় বাঙালি ওয়ালি খান এ বিষয়টির প্রতিবাদ করেন। সাধারণত এ সময় হলওয়েল ভেতরে ঢুকে বাংলার নবাবের কাছে আত্মসমর্পণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। গভর্নর এর সঙ্গে পরামর্শের কথা বলে ক্লেটন পালিয়ে চলে যান।
তখন এই দুর্গের দায়িত্ব নিয়ে নেয় হলওয়েল। যুদ্ধজয়ী নবাব হলওয়েলের কাছে জবাবদিহিতা চাইলেন, আমাদের এই বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবার সাহস ইংরেজরা কোথা থেকে পেল? এরপরে বাংলার নবাবের নির্দেশে কাশিমবাজার কুঠির পরিচালক বন্দি ওয়াটসকে নবাবের সামনে আনা হলে তাদের অশিষ্ট আচরণ ও অনাচারের জবাবদিহিতা চাওয়া হলো।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ল্যাপটপে ওয়াইফাই কানেক্ট করবো
এ বিষয়গুলোর ওপর জবাবদিহিতা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এই বাংলায় তাদের বাণিজ্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন। বাণিজ্য বন্ধ করার পাশাপাশি তিনি আরও নির্দেশ দিলেন যে, গভর্নর ড্রেকের বাড়িটা কামানের গােলায় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হোক। এছাড়া ইংরেজদের অবিলম্বে কলকাতা ত্যাগ করতে হবে। আরো বেশ কিছু বিষয় এর উপর তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন।
এর মধ্যে অন্যতম হলো আশপাশের গ্রামবাসীরা যেন ইংরেজদের কাছে কোন ধরনের পণ্য বেচাকেনা না করে। সাধারণত এ বিষয়গুলো গ্রামের প্রতিটি মানুষকে জানিয়ে দিতে বললেন বাংলার নবাব। এছাড়া তিনি আরো নির্দেশ দিলেন যে বাংলা যে সকল ইংরেজরা রয়েছে প্রত্যেক ইংরেজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হোক এবং এগুলো নবাবের তহবিলে জমা করা হোক।
সিরাজউদ্দৌলা নাটক এর লেখক
আমরা ইতিমধ্যেই সিরাজউদ্দৌলা নাটক সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জেনেছি। সাধারণত আমরা যারা এই নাটকটি দেখেছি তাদের মধ্যে অনেকেই সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখককে এ বিষয় সম্পর্কে জানেনা। যেহেতু আমরা এই নাটকটি অনেকেই পছন্দ করি তাই আমাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক হলেন সিকান্দার আবু জাফর। সাধারণত তিনি অনেক নাটক রচনা করেন এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সিরাজউদ্দৌলা। এ নাটকটি তিনি রচনা করেন ১৯৬৫ সালে। এছাড়া তার আরো বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য নাটক আছে। এই নাটকটি আমরা দেখি সাধারণত এটি এই লেখকের রচিত সিরাজউদ্দৌলা নাটক।
সিরাজউদ্দৌলা নাটক সংক্ষিপ্ত
১৯৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং পতনকে কেন্দ্র করে মূলত এ নাটকটি রচনা করা হয়েছে। কাহিনীটা শুরু হয়েছিল মূলত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যেখানে ইংরেজরা গাটি বা বাংলা শাসন ব্যবস্থাকে দখল করে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল, তখন সিরাজ অত্যন্ত চিন্তিত ছিল। ঠিক কিভাবে বাংলার এই শাসন ব্যবস্থাকে টিকে রাখা যায়, বা কিভাবে যুদ্ধে জয়লাভ করা যায়, কিভাবে ইংরেজদের হাত থেকে বাঙালি বা বাংলার মানুষকে মুক্তি দিতে পারে এই বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিল সিরাজ। এখানে বড় সমস্যা ছিল সিরাজের আপন খালা, সেনাসদস্য এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য মানুষ মিলে সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। যা সিরাজউদ্দৌলার জন্য অত্যন্ত চিন্তার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সিরাজউদ্দৌলার জন্য যে, ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সেটা কিন্তু সিরাজ বুঝতে পেরেছেন, তিনি কিছু করতে চাচ্ছেন না, কারণ তার পরিবার এবং তার আপনজন মানুষগুলো এই ষড়যন্ত্র করতেছে। ষড়যন্ত্রের কথা জানার পরেও তিনি আপন মানুষদের জন্য কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছেন না, তিনি ভাবছেন যে, কিভাবে আপন মানুষদের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিবেন, একই সাথে তিনি এটাও ভাবছেন যে তিনি যদি কোন পদক্ষেপ না নেন, তাহলে তার রাজপ্রাসাদ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র
যেহেতু এই নাটকটি পর্দায় অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই অবশ্যই এখানে অনেকেই অভিনয় করেছে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ আছে যারা সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্রগুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা রাখে না। আমরা ইতিমধ্যে এই নাটকের বেশ কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনেছি তবে এখন আমরা সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করব।
- আলীবদ্দি খাঁ
- আমিনা বেগম
- রাইসুল জুহালা
- সিরাজউদ্দৌলা
- লুৎফুন্নেসা
- মোহনলাল
সিরাজউদ্দৌলা নাটক - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তুঃ উপসংহার
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমরা অনেকেই এই নাটক দেখতে পছন্দ করি এবং ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই নাটক দেখেছি তাই অবশ্যই আমাদেরকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। আমার প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। ২০৮৭৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url