রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

 রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে। তাই আপনি যদি রাঙ্গামাটি ভ্রমণের সময় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখে নেয়া যাক, রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

পেজ সূচিপত্র: রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

ভূমিকা

ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তিদের প্রিয় জেলা হচ্ছে রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটিতে গেলে একই সাথে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ভ্রমণ স্পট ভ্রমণ করার সুযোগ থাকে। সাধারণত অন্যান্য জেলায় একসাথে এতগুলো ভ্রমণ স্পট পাওয়া যায় না। খরচের দিক থেকে যদি আপনি বিবেচনা করেন তাহলে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ অধিক লাভজনক।

আপনি যদি রাঙ্গামাটি জেলা ভ্রমণ করতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক হেল্প করতে পারবে। কেননা এই আর্টিকেলটিতে রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি ভ্রমণ করার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে জ্ঞান না রাখেন, তাহলে কিন্তু আপনার রাঙ্গামাটি ভ্রমণ সুখকর নাও হতে পারে। 

যেমন ধরুন, আপনি যদি, বর্ষাকালের রাঙ্গামাটি ভ্রমনে যান, আর কয়েকদিন যাবত স্থায়ী ভাবে যদি বৃষ্টি হতে থাকে, তাহলে কিন্তু আপনার রাঙ্গামাটি ভ্রমণের সকল টাকাই মাটি হয়ে যাবে। কেননা বৃষ্টির কারণে আপনি কোথাও ভ্রমণ করতে পারবেন না, আপনাকে ঘরের ভেতরে আবদ্ধ অবস্থায় থাকতে হবে।  যাইহোক, আপনি যদি রাঙ্গামাটি ভ্রমণের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন।

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

বছরের যে কোন সময় রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করা যেতে পারে, এতে কোন সমস্যা নেই। তবে আপনি যদি নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, সেক্ষেত্রে শীতকালে ভ্রমণ করাটা আপনার জন্য অনেক বেশি কমফোর্টেবল হতে পারে। আপনি যদি রাঙ্গামাটি জেলায় ভ্রমণ করতে চান তাহলে শীতকালে ভ্রমন করতে পারেন কেননা ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হল শীতকাল। 

অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো এক সময় ভ্রমণ করতে পারেন। এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকে। আর তাই আপনি এই সময় রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানসমূহ যেমন সাজেক ভ্যালি, কাপ্তাই লেক ইত্যাদি ভ্রমণ স্পট সমূহের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। 
এছাড়াও ঝুলন্ত সেতুতে হাইকিং করতে পারেন, এবং শুভলং ঝর্ণার জলপ্রপাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। চাইলে আপনি গ্রীষ্মকালেও ও রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করতে পারেন। অর্থাৎ মার্চ থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি কোন সময়ে ভ্রমণ করা যেতে পারে। গ্রীষ্মকালের এই সময়টিতে আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকে এই সময় যদি আপনি ভ্রমণে আসেন তাহলে, রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া বর্ষাকালেও রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করা যেতে পারে। আপনি যদি বর্ষাকালে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করেন তাহলে নতুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এক কথায় রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেক সিজনে একেক রূপ ধারণ করে আপনি যদি প্রত্যেকটি সিজনেই রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করেন, তাহলে প্রকৃতির নতুন নতুন রূপ দেখতে পাবেন।

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের কিছু টিপস

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন তা ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন। যাইহোক নিচে রাঙ্গামাটি ভ্রমণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস তুলে ধরা হবে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করার সময় নিম্ন বর্ণিত টিপস গুলো অনুসরণ করলে নিরাপদ ভাবে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করতে পারবেন।
  • যানবাহন: আপনি যদি কম খরচে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করতে চান, সে ক্ষেত্রে বাসে করে যেতে পারেন। যদিও বাসে রাঙ্গামাটি যেতে কিছুটা বেশি সময় লাগবে তবে তা আপনার খরচ অনেক বাঁচাবে। তবে চাইলে আপনি বিমানযোগেও রাঙ্গামাটি যেতে পারেন যেতে পারেন, এতে করে কিছুটা বেশি খরচ হবে। আর আপনার যদি বাজেটের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে হেলিকপ্টার ভাড়া করেও রাঙ্গামাটি ভ্রমনে যেতে পারেন।
  • থাকার ব্যবস্থা: রাঙ্গামাটিতে থাকার জন্য অনেক হোটেল এবং গেস্টহাউস রয়েছে। আপনার বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো হোটেলে থাকতে পারেন ব্যবস্থা করতে পারেন। অল্প টাকায় যেমন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে ফাইভ স্টার হোটেলে বহু টাকা খরচ করেও থাকতে পারেন। ফোরস্টার বা ফাইভ স্টার হোটেলে যদি আপনি রাত্রি যাপন করেন তাহলে আপনাকে মোটামুটি ভালো টাকা খরচ করতে হবে।
  • গাইড ভাড়া: রাঙ্গামাটি ভ্রমণের জন্য গাইড ভাড়া করতে পারেন। আপনি যদি ভ্রমণ করার জন্য ভ্রমণ গাইড ভাড়া করেন তাহলে রাঙ্গামাটির সব থেকে ভালো জায়গাগুলো অল্প সময়ের মধ্যে দেখে নিতে পারবেন এবং রাঙ্গামাটির বিখ্যাত জায়গাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। তাই ভ্রমণ করার জন্য গাইড ভাড়া করে নিতে পারেন।
  • সানস্ক্রিন: রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সানস্ক্রিন সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। কেননা দীর্ঘ সময় যদি আপনি সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদ্রের আলোতে হাটাহাটি করেন, তাহলে তা আপনার ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই রাঙ্গামাটি ভ্রমন করার সময় অবশ্যই আপনাকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। 
  • পোশাক সাথে নিন: আপনি কত দিনের জন্য ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করবে আপনি কতগুলো পোশাক সঙ্গে নিবেন। যদি বেশি দিন ভ্রমণ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাপড়ের সাথে নিতে হবে। আর যদি অল্প সময়ের জন্য ভ্রমন করতে যান, তাহলে হালকা পাতলা কিছু কাপড় নিলেই চলবে। অর্থাৎ কাপড় কতগুলো নিতে হবে তা নির্ভর করবে আপনি কতদিন সেখানে থাকবেন তার উপরে। 
  • স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন: রাঙ্গামাটিতে প্রচুর নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বসবাস। প্রত্যেক নৃতাত্তিগোষ্ঠীর আলাদা আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। আপনি যদি রাঙ্গামাটি ভ্রমণে যান তাহলে অবশ্যই সকল নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কারো সংস্কৃতির প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করা সমীচীন নয়। বিশেষ করে আপনি যদি তাদের সাথে তর্কে বা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তাহলে কিন্তু তা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

রাঙ্গামাটি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো যদি আপনি মনোযোগের সাথে করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনেছেন। নিচে রাঙ্গামাটি সম্পর্কিত অমন কিছু প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হবে। নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো যদি আপনি মনোযোগের সাথে পড়েন তাহলে রাঙ্গামাটির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
  • রাঙ্গামাটি জেলা কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
  • কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত।
  • রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
  • রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হয়- ১৯৭৫ সালে ।
  • বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি?
  • আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা- রাঙামাটি।
  • বাংলাদেশের প্রথম ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র কোনটি?
  • বাংলাদেশের ১ম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বেতবুনিয়া রাঙামাটি।
  • বাংলাদেশের উপজাতিদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কতটি?
  • বাংলাদেশের উপজাতিদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান- ৩টি।
  • রাঙ্গামাটি কেন বলা হয়?
  • মুত্তিকার রং রাঙা বলে এর নাম রাঙামাটি। 
  • কোন জেলার সাথে ভারত মিয়ানমার উভয় দেশের সীমান্ত রয়েছে?
  • রাঙামাটির সাথে ভারত ও মায়ানমার উভয়ের সংযোগ রয়েছে।
  • কোন জেলায় রিক্সা নেই?
  • রাঙামাটিতে কোনো রিক্সা নেই।
  • গাধা প্রজনন কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
  • গাধা প্রজনন কেন্দ্র অবস্থিত- রাঙামাটিতে।
  • কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কত সালে নির্মাণ করা হয়?
  • কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত- কর্ণফুলী নদীতে নির্মাণ ১৯৬২ কার্যক্রম শুরু ১৯৬৫ সালে। ভেঙ্গিভ্যালি- কাপ্তাই, রাঙামাটি। 
  • রাঙ্গামাটিতে কতগুলো জনগোষ্ঠী বসবাস করে?
  • ১২টি জনগোষ্ঠীর এর বৈচিত্র্যময় জনপদ- রাঙামাটি।
  • রাঙ্গামাটির পুরাতন নাম কি?
  • পুরাতন নাম হরিকেল। 
  • বাংলাদেশের একমাত্র রেয়ন মিল কোথায় অবস্থিত?
  • বাংলাদেশের একমাত্র রেয়ন মিল কর্ণফুলী রেয়ন মিল- চন্দ্রঘোনা, রাঙামাটি ।

রাঙামাটি বিখ্যাত কেন? 

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলাটি হল রাঙ্গামাটি। রাঙামাটি জেলা আনারস,কাঁঠাল এবং কলার জন্য বিখ্যাত। রাঙ্গামাটি জেলায় রয়েছে দশটি বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান। রাঙ্গামাটি জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ও বিখ্যাত। রাঙামাটিতে দেখার মত অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। যেমন: ঝুলন্ত ব্রীজ পলয়েল পার্ক প্রভৃতি। 

রাঙ্গামাটি জেলার প্রধান নদী কর্ণফুলী। রাঙ্গামাটি জেলায় রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল কর্ণফুলী কাগজ কল এবং দেশের বৃহত্তম পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এছাড়া রয়েছে রেয়ন কল, ঘাগড়া বস্ত্র কারখানা,উপজাতীয় বেইন শিল্প,বাঁশ‌ও বেতের হস্তশিল্প হাতির  দাঁত শিল্প ইত্যাদি।

রাঙামাটির বিখ্যাত খাবার: 

রাঙ্গামাটি জেলায় খাবারের আছে আলাদা এক বৈশিষ্ট, যার কারণে এই জেলায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের এখানকার খাবার খুব বেশি আকৃষ্ট করে। রাঙামাটিতে খাবারের অনেক হোটেল রয়েছে। ব্যাম্বো চিকেন খেতে হলে দ্বীপে যে সকল স্টুডেন্ট থাকে সেগুলোতে যাওয়া ভালো। ট্রলারে লেকে ঘোরার সময় দুপুরের খাবার হিসেবে ব্যাম্বো চিকেন খেতে পারেন। প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টের খাবার বেশ ভালো। রেস্টুরেন্ট থেকে লেকের ভিউ অসাধারণ আসে। 

এ জেলার খাবারগুলোতে উপজাতি ও বাঙ্গালির সংস্কৃতি অন্যান্য মিশ্রণের প্রভাব পড়েছে। যার কারণে খাবারগুলো বিখ্যাত বেশি। পাহাড়ি ঢালে জন্মানো বিভিন্ন কৃষি পণ্য ব্যবহার করে অথেন্টিক স্টাইলে রান্না করা প্রতিটি খাবার এই জেলার ঐতিহ্য কে বহন করে আসছে। 

রাঙ্গামাটি জেলায় কিছু জনপ্রিয় খাবার:

১.তাবা তোন
২.পাজন
৩.পাহাড়ি কলা
৪.নাপ্পি
৫.কাকড়া
৬.কুইচে মাছ
৭.সিদল দিয়ে সবজি সিদ্ধ 
৮.আনারস
৯.মাশরুম
১০.ছুড়ি শুটকি ইত্যাদি।

রাঙামাটির কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার:

১.মুরগির গুঁতাইয়া 
২.বাঁশের কোড়ল
৩.এচোঁড় নিরামিষ 
৪.হাঙর শুঁটকি 
৫.গুটি বেগুন 
৬.বিন্নি চালের ভাত 
৭.বিন্নি চাল আর ভাপা পিঠা
৮.সবজি সিদ্ধ
৯.মুরগির ভর্তা
১০.মিষ্টি তেঁতুল ইত্যাদি।

শেষ কথা

বাংলাদেশের অন্যতম জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আশা করি সেই তথ্যগুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url