যে ৫ টি খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করলেও ক্লান্ত হবেন না
খাবার ই মুলত শক্তির মুল চাবিকাঠি। আমরা অনেকেই জানি না কোন খাবার খেলে আমরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করতে পারব, শরীর দূর্বল হবেনা। তাই আমরা যারা জানিনা, কোন খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করতে পারব আজকের পোস্টে সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে আর দেরী না করে চলুন শুরু করা যাক যে খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করলেও ক্লান্ত হবেন না এই বিষয় সম্পর্কে।
প্রিয় দর্শক আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমরা সবসময় তা চাই এবং সেজন্য আমরা চাই যে খুব সহজে কিভাবে আপনাদেরকে সমাধান দেয়া যায়। কিভাবে খাবারের মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়। মূলত খাবারই সবকিছু, কিন্তু কোন খাবার যত বেশি ন্যাচারাল এবং ফ্রেশ ও সিজনাল খাবার থাকবে ততই কিন্তু আমরা আসলে সুস্থ এবং ভালো থাকবো। আমরা অনেকজন অনেক ধরনের কাজ করি, এক এক ধরনের এক এক কাজের প্যাটার্ন বা ধরন বিভিন্ন রকমের থাকে। কেউ খুব পরিশ্রম করতে হয়, কারো তেমন একটা পরিশ্রম করতে হয় না, কেউ অনেক বেশি পরিশ্রমের কারণে সময় মেইনটেইন করতে পারে না। যার কারণে তাদের সঠিকভাবে খাওয়া হয় না এবং সে খুব দুর্বল হয়ে যায়।
অর্থাৎ জীবনের প্রয়োজনে দায়িত্বের কারণে বা এফেকশনের কারণে সাইকোলজিক্যালি আমরা যে দায়িত্ব নেই যে এই কাজটা আমাকে করতেই হবে। শরীরের উপর অনেক জোর খাটিয়ে আমরা অনেক সময় অনেক কাজ করে ফেলি। কিন্তু দিন শেষে যখন বাড়ি ফিরে যাই, তখন আমরা অনেক ক্লান্ত হয়ে যাই বা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর দেখা যায় যে আমরা আর লোড নিতে পারছিনা। অথচ বয়স কিন্তু তেমন হয়নি হয়তো ৩০, ৩৫ বা ৪০ বছরের মধ্যে আমরা অনেক ক্লান্ত হয়ে যাই। কাজ করতে গিয়ে কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো আপনাকে দীর্ঘ সময়ের ক্লান্তি দূর করে রাখতে পারবে বা আপনাকে এনার্জিটিক রাখবে। যে খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় রেগুলার রাখার চেষ্টা করবেন এবং খেয়াল করে দেখবেন আসলে এ খাবারগুলো আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকে না। খুব সুপার ফুড এর মধ্যে আমি ফ্রুটস এরমধ্যে যদি বলি ওটসের কথা বলবো। তারপর বলবো কলার কথা, কলার মধ্যে বীজ পটাশিয়াম থাকে এবং আমাদের এখানে কলার মধ্যে যেহেতু ফ্রুক্টোজ থাকে, যেটা ভেঙ্গে গ্লুকোজ এবং গ্যালাকটোজ তৈরি হয়।
সো এটা আপনাকে এনার্জি দিবে লং টাইম এনার্জি দিবে। এরপর ডিমের কথা বলবো, ডিমে সবচেয়ে উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে। একজন মানুষকে যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায় তাকে বলবো রেগুলার দুটি ডিম খেতে। এছাড়া খাওয়ার জন্য আমরা বাদামের কথা সবাই জানি যেকোনো এক প্রজাতির বাদামও যদি খাদ্য তালিকায় থাকে তাহলে আপনার ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। অনেকে আছেন পানিটা সঠিকভাবে পান করেন না, প্রতি ঘন্টায় এক গ্লাস করে পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটা আপনার ক্লান্তিকে দূর করে দিবে। অর্থাৎ আপনি কোনভাবে তখন দুর্বল হবেন না, যারা সকাল থেকে কাজ শুরু করেন তাদেরকে বলবো যে হাই ফাইবার সমৃদ্ধ সিজনাল বা কার্বোহাইড্রেট নেওয়ার জন্য।
যেমন ওটসের কথা বলবো, এটা খুব জনপ্রিয়। ওটস কে যদি বয়েল করে নেন, তার সাথে যদি টক দই মিক্স করে নেন অথবা যদি একটু দুধ মিক্স করে নেন পাশাপাশি সৃজনাল কলা কেটে দেন বা খেজুর কেটে দেন অথবা আপেল কেটে দেন বাদাম দিয়ে দেন কিসমিস দিয়ে দেন তাহলে এটা একটা রিচ খাবার হবে। এটা সকাল বেলায় খেলে আপনি দেখবেন যে লং টাইম সে আপনাকে কতটুকু এনার্জি দেয়। টাইমের জন্য আমরা অনেক সময় খেতে পারি না, তাই যে খাবার গুলোর নাম বলেছি সে খাবার গুলোকে একটা খাবারে মিক্স করে খান।
অর্থাৎ ওটসে কিন্তু অনেকগুলো খাবার আপনি মিক্স করে খেতে পারছেন। ফলে আপনাকে রাইস ফিস খেতে হবে বিষয়টা কিন্তু এরকম না। কেননা আপনি টক দই খেলেন তার সাথে কলা মিক্স করলেন একটু বাদাম মিক্স করলেন জিরার গুড়া মিক্স করলেন খেজুর মিক্স করলেন। আপনি যখন এটা খাবেন তাহলে একটা খাবারে এই জিনিসগুলো মিক্স হয়ে গেলে আপনাকে লংটাইম এনার্জি দিবে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, এতক্ষণ পর্যন্ত দেখলেন যে খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করলেও ক্লান্ত হবেন না এই বিষয় সম্পর্কে। আশা করি বুজতে পেরেছেন যে সকল খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করলেও ক্লান্ত হবেন না এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে। পরিশেষে বলব উপরে উল্লেখিত খাবার খেলে যদি আপনার কোন সমস্যা হয়, তাহলে আপনি একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়াও আপনার শরীরের সাথে যায় এমন খাবারও খেতে পারেন। এতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এছাড়া পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করে আপনার পরিচিতদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url