কাশি কমানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায়: (কাশি কমানোর ১০টি ঔষধের নাম)
কাশি খুবই পরিচিত একটি রোগ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে এই রোগের ভুক্তভোগি। কাশি এমন রোগ যা ওষধ খাওয়ার পরেও পুরোপুরি সুস্থ হতে অনেক সময় নিয়ে থাকে। আমরা যখন এন্টিবায়োটিক দিয়ে কাশির চিকিৎসা করে থাকি তখন কাশি ভালো হলেও এন্টিবায়োটিক এর প্রতিক্রিয়া আমাদের শরীরে থেকে যায়। তাই কাশি হলে শুরুতে আমাদের উচিত ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করা।
আজকের পোস্টে কাশি কমানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায় এবং কাশি কমানোর ১০ টি ঔষধের নাম বলব। তাই আর দেরী না করে চলুন শুরু করা যাক আজকের টপিক কাশি কমানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায়: (কাশি কমানোর ১০টি ঔষধের নাম) সম্পর্কে।
কাশি কমানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায়ঃ
কাশি কমানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায় নিচে আলোচনা করা হলো।
১.হলুদ দুধ - ১ গ্লাস গরম দুধে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে কাশি উপশম হয়। হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণসম্পন্ন।
২.মধু - ১ চা চামচ মধু কাশির জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। এটি গলা লুব্রিকেট করে এবং সর্দি-কাশির লক্ষণ উপশমে সাহায্য করে।
৩. আদা চা - গরম পানিতে কুচি করা আদা ফুটিয়ে চা বানিয়ে পান করলে কাশি কমতে পারে। আদা প্রদাহ কমায় এবং মিউকাস পাতলা করতে সাহায্য করে।
৪.গরম স্যালাইন জল - গরম স্যালাইন জল দিয়ে গার্গল করলে গলা পরিষ্কার হয় এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।
৫. মেন্টল তেল - মেন্টল তেল বা পেপারমিন্ট তেল গরম পানিতে দিয়ে ইনহেল করার মাধ্যমে শ্বাসযন্ত্রের তীব্রতা কমানো যায়।
৬. তুলসী পাতা - তুলসী পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে চা বানিয়ে পান করলে কাশি কমতে সাহায্য হয়। তুলসী প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল গুণসম্পন্ন।
৭. লেবুর রস - লেবুর রস এবং মধুর মিশ্রণ কাশির জন্য কার্যকর। লেবুর ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
৮. চা পাতার ভাপ - চা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে তার ভাপ নিলে শ্বাসযন্ত্রের শ্লেষ্মা পাতলা হয় এবং কাশি কমে।
৯.গরম জল - দিনে কয়েকবার গরম জল পান করলে গলা এবং শ্বাসযন্ত্রের আরাম পাওয়া যায়।
১০.বেকিং সোডা এবং লেবুর রস - বেকিং সোডা এবং লেবুর রসের মিশ্রণ গলায় মাখলে কাশি কমতে সাহায্য করতে পারে।
কাশি কমানোর এই ১০ টি ঘরোয়া উপায়গুলি চেষ্টা করার আগে, যদি কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোন গুরুতর লক্ষণ থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কাশি কমানোর ১০টি ঔষধের নামঃ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমরা এখন আলোচনা করব কাশি কমানোর ১০টি ঔষধের নাম। আপনাদেরকে ঔষধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে খেতে হবে, কেননা একটি আপনার শরীরের অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিভিন্নভাবে কাজ করবে। তাই আপনি ঔষধের নাম জানলেই ঔষধ খেয়ে ফেলবেন এমন যেন না হয়। এতে আপনারই ক্ষতি হবে।
কাশি কমানোর জন্য কিছু সাধারণ ঔষধ এবং তাদের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
১.ক্লোফেনাক - এটি একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ঔষধ যা কাশি বা গলা ব্যথার সাথে সম্পর্কিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
২. ডেক্সট্রোমেথরফান - কাশি কমানোর জন্য ব্যবহৃত একটি কাশির সিরাপ যা কাশি সংবেদনকে দমন করে।
৩.গুয়াইফেনেসিন - এটি একটি এক্সপেক্টোরেন্ট, যা শ্বাসযন্ত্রের শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং সহজে অপসারণে সাহায্য করে।
৪. মন্টেলুকাস্ট - এটি একটি অ্যালার্জি ঔষধ যা অ্যালার্জি-প্রদত্ত কাশি কমাতে ব্যবহৃত হয়।
৫. ব্রোমহেক্সিন - এটি একটি এক্সপেক্টোরেন্ট যা শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং কাশির তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।
৬. হাইড্রোকডোন - এটি একটি কোডেইন জাতীয় কাশি দমনকারী ঔষধ যা কাশির প্রতিক্রিয়া কমায়।
৭.মামফেনামিক এসিড - এটি একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ঔষধ যা গলা ব্যথা এবং কাশির সাথে সম্পর্কিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৮. লিভোফ্লোক্সাসিন - এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা জীবাণু-সৃষ্ট কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
৯.অ্যামক্সিসিলিন - এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা জীবাণু সংক্রমণ থেকে কাশি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
১০.সালবুটামল - এটি একটি ব্রঙ্কোডাইলেটর যা শ্বাসযন্ত্রের সংকোচন কমায় এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।
এই ঔষধগুলি ব্যবহারের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে এবং কিছু ঔষধের ব্যবহার বিশেষ পরিস্থিতিতে সীমিত হতে পারে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমরা এতক্ষণ আলোচনা করেছি কাশি কমানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায়: (কাশি কমানোর ১০টি ঔষধের নাম) সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পোস্টটি ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url