মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য সম্পর্কে আপনারা অনেকে জানতে চান। তাই আজকের পোস্টে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য কত তা জানানোর জন্য। তাই আর দেরী না করে চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্ট মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য।
আজকের পোস্টে আরও যেসকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব সেগুলো হলোঃ মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, ফোনের ডিসপ্লে কালো দাগ, মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করার উপায়, বাটন মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, মোবাইলের ডিসপ্লে লাগানোর নিয়ম, ভিভো y12 ডিসপ্লের দাম কত এবং বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য ইত্যাদি।
পেজ সূচিপত্র: মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
- ভূমিকাঃ মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
- মোবাইলের ডিসপ্লের দাম
- ফোনের ডিসপ্লে কালো দাগ
- মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করার উপায়
- বাটন মোবাইলের ডিসপ্লের দাম
- মোবাইলের ডিসপ্লে লাগানোর নিয়ম
- ভিভো y12 ডিসপ্লের দাম কত
- বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
- শেষ কথাঃ মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
ভূমিকাঃ মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
আমরা যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি, তখন এটি শুধু আমাদের যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, বরং জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়। মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে হলো এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা আমাদের সবকিছু দেখার ও ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত অনেক সময় আমাদের ফোনের ডিসপ্লে ভেঙে যায় বা সমস্যা দেখা দেয়, আর তখনই প্রশ্ন আসে—এই ডিসপ্লেটি ঠিক করতে কত খরচ হবে?
আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, ফোনের ডিসপ্লে কালো দাগ, মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করার উপায়, বাটন মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, মোবাইলের ডিসপ্লে লাগানোর নিয়ম, ভিভো y12 ডিসপ্লের দাম কত এবং বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমরা কথা বলবো এবং মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করানোর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব, যাতে আপনি সহজে আপনার ফোনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মোবাইলের ডিসপ্লের দাম
ফোনের ডিসপ্লে কালো দাগ
ফোনের ডিসপ্লেতে কালো দাগ বা "ডেড পিক্সেল" মূলত একটি সাধারণ সমস্যা, যা বেশিরভাগ সময় ডিসপ্লের অভ্যন্তরীণ ক্ষতি বা স্ক্রিনের উপর চাপের কারণে ঘটে। এই দাগগুলো সাধারণত স্ক্রিনের কিছু অংশকে কাজ করা থেকে বিরত রাখে, ফলে ঐ অংশে কোনো ছবি বা ভিডিও প্রদর্শিত হয় না এবং একটি কালো ছাপ পড়ে থাকে। যদিও ফোনের অন্যান্য অংশ ভালোভাবে কাজ করতে থাকে, কিন্তু কালো দাগটি দেখতে বিরক্তিকর হতে পারে।
এই সমস্যা সাধারণত তখন দেখা দেয়, যখন ডিসপ্লের নির্দিষ্ট অংশে পিক্সেলগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর কারণে ফোন ব্যবহার করতে কোনো বড় সমস্যা না হলেও, এটি স্ক্রিনের সৌন্দর্য ও দৃশ্যমানতায় প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে, পুরো স্ক্রিন পরিবর্তন করাই সমাধান, কারণ স্ক্রিনের নির্দিষ্ট অংশকে আলাদা করে ঠিক করা সম্ভব নয়। তবে, যদি সমস্যা খুব ছোট হয় এবং ফোনের ওয়ারেন্টি থাকে, তাহলে ওয়ারেন্টির মাধ্যমে ডিসপ্লে বিনামূল্যে পরিবর্তন করানো যেতে পারে। এছাড়া, ডিসপ্লে রক্ষণাবেক্ষণে যত্নশীল হলে এই ধরনের সমস্যাগুলি কম দেখা দেয়।
মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করার উপায়
মোবাইলের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকের দিনে মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করা খুবই সহজ। তবে, ডিসপ্লে ঠিক করার আগে আপনাকে জানতে হবে, কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে।
ডিসপ্লে সমস্যার সাধারণ কারণ:
1/ ফোন পড়ে গেলে ডিসপ্লেতে ফাটল ধরা বা পিক্সেল মরে যাওয়া স্বাভাবিক।
2/ পানি ঢুকে গেলে ডিসপ্লে ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা কাজ না করা।
3/ কখনো কখনো ডিসপ্লের সাথে যুক্ত কোনো কানেক্টর খুলে যাওয়া বা ডিসপ্লে চিপের সমস্যার কারণেও ডিসপ্লে কাজ না করতে পারে।
ডিসপ্লে ঠিক করার উপায়:
1/ সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, আপনার মোবাইলটি কোনো অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া। তারা আপনার মোবাইলের সমস্যা নির্ণয় করে দ্রুত এবং সঠিকভাবে ঠিক করে দেবে।
2/ আপনি যদি অর্থ সাশ্রয় করতে চান, তাহলে কোনো থার্ড পার্টি রিপেয়ার শপে যেতে পারেন। তবে, এই ক্ষেত্রে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, তারা ভালো মানের কাজ করবে।
3/ যদি আপনার কিছুটা টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি নিজেও ডিসপ্লে বদলাতে পারেন। তবে, এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, তাই সাবধানে করুন।
4/ যদি ডিসপ্লে ঠিক করার খরচ অনেক বেশি হয়, তাহলে নতুন মোবাইল কিনে ফেলাই ভালো হতে পারে।
ডিসপ্লে ঠিক করার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন:
মেরামতের আগে একটি বাজেট নির্ধারণ করে নিন। বিভিন্ন সার্ভিস সেন্টারে দামের তুলনা করে নিন। মেরামত করার আগে আপনার মোবাইলের ডেটা ব্যাকআপ করে নিন। যদি আপনার মোবাইলে ওয়ারেন্টি থাকে, তাহলে সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করুন।
মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে ভাবুন। আপনার মোবাইলের মডেল, ক্ষতির ধরন এবং আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিন। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী হবে।
বাটন মোবাইলের ডিসপ্লের দাম
বাটন মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করানো তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়ে থাকে, কারণ এ ধরনের ফোনে সাধারণত ছোট এবং কম রেজোলিউশনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত, একটি বাটন মোবাইলের ডিসপ্লে পরিবর্তনের খরচ ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এই খরচ নির্ভর করে ফোনের মডেল, ডিসপ্লের আকার, এবং স্থানীয় দোকানের সার্ভিস চার্জের উপর। নতুন স্মার্টফোনের মতো এখানে বড় পরিমাণে খরচের প্রয়োজন হয় না, কারণ বাটন মোবাইলের ডিসপ্লেগুলো সাধারণত জটিল নয় এবং সহজেই পাওয়া যায়। আপনার ফোন যদি পুরনো মডেলের হয়, তাও এই ডিসপ্লেগুলো সহজলভ্য থাকে এবং কম সময়ের মধ্যে ঠিক করানো যায়।
মোবাইলের ডিসপ্লে লাগানোর নিয়ম
মোবাইলের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই নিজে থেকে ঠিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইলের ভেতরে অনেক ছোট ছোট পার্টস থাকে এবং ডিসপ্লে লাগানো একটি বেশ জটিল কাজ। তাই নিজে করার চেষ্টা না করে কোনো দক্ষ টেকনিশিয়ানের কাছে যাওয়াই ভালো। তবে, যারা নিজে করতে চান তাদের জন্য কিছু সাধারণ ধারণা দেওয়া যাক।
ধরুন আপনি নিজে আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে বদলাতে চান। তাহলে আপনাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে:
1/ আপনাকে একটি ছোট স্ক্রু ড্রাইভার, একটি সাকশন কাপ, একটি প্লাস্টিকের উত্থাপক, একটি নতুন ডিসপ্লে এবং একটি স্ক্রিন প্রোটেক্টর দরকার হবে।
2/ মেরামত শুরু করার আগে ফোনটি বন্ধ করে ব্যাটারি বের করে নিন। এতে করে শক লাগার সম্ভাবনা কমবে।
3/ স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ফোনের পিছনের কভারের স্ক্রু খুলে ফেলুন এবং কভারটি খুলে নিন।
4/ সাকশন কাপ এবং প্লাস্টিকের উত্থাপক ব্যবহার করে পুরানো ডিসপ্লেকে আস্তে আস্তে ফোন থেকে আলাদা করুন।
5/ নতুন ডিসপ্লেতে থাকা কানেক্টরগুলোকে ফোনের মেইনবোর্ডের সাথে সঠিকভাবে সংযুক্ত করুন।
6/ সবকিছু ঠিকঠাকভাবে জোড়া লাগানোর পর ফোনটি আবার বন্ধ করে দিন।
7/ ফোনটি চালু করে দেখুন সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা।
মনে রাখবেন: মোবাইলের ভেতরে অনেক ছোট ছোট পার্টস থাকে। একটু ভুল হলে আপনার ফোনটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি আপনি নিজে করে ফোন মেরামত করেন, তাহলে আপনার ফোনের ওয়ারেন্টি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি আপনি নিজে করে করতে না পারেন, তাহলে কোনো দক্ষ টেকনিশিয়ানের কাছে যান। কেন নিজে না করে টেকনিশিয়ানের কাছে যাওয়া ভালো? টেকনিশিয়ানরা এই কাজটি নিয়মিত করেন এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জ্ঞান থাকে। টেকনিশিয়ানরা সাধারণত তাদের কাজে গ্যারান্টি দেয়। নিজে করতে গেলে অনেক সময় লাগতে পারে। টেকনিশিয়ানরা খুব কম সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করে দিতে পারবে।
মোবাইলের ডিসপ্লে লাগানো একটি জটিল কাজ। যদি আপনি নিজে করতে চান, তাহলে উপরের নির্দেশাবলী মেনে চলুন। তবে, যদি আপনি নিশ্চিত না হন, তাহলে কোনো দক্ষ টেকনিশিয়ানের কাছে যাওয়া ভালো। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
ভিভো y12 ডিসপ্লের দাম কত
ভিভো Y12-এর ডিসপ্লে পরিবর্তনের খরচ মূলত নির্ভর করে আপনি কোথা থেকে সেটি ঠিক করাতে যাচ্ছেন এবং কোন ধরনের ডিসপ্লে ব্যবহার করছেন। সাধারণত, ভিভো Y12-এর ডিসপ্লে লোকাল দোকানে ঠিক করাতে গেলে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে খরচ হতে পারে। তবে, যদি আপনি অফিশিয়াল সার্ভিস সেন্টার থেকে অরিজিনাল পার্টস সহ ডিসপ্লে ঠিক করাতে যান, তাহলে খরচ কিছুটা বেশি পড়তে পারে, প্রায় ৪০০০ থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে। আপনার বাজেট এবং মানের উপরে নির্ভর করে কোন অপশনটি বেছে নেবেন সেটি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। মনে রাখবেন, ডিসপ্লে ঠিক করানোর সময় ভালো মানের পার্টস ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নিম্নমানের ডিসপ্লে আপনার ফোনের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
Vivo Y20 ফোনের টাচ ডিসপ্লে পরিবর্তন করতে গেলে মূলত ফোনের মডেল ও কোথা থেকে আপনি সার্ভিস নিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে খরচ। বাংলাদেশে Vivo Y20-এর টাচ ডিসপ্লে পরিবর্তন করতে সাধারণত ২,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে খরচ হয়। তবে, অফিশিয়াল সার্ভিস সেন্টারে গেলে খরচ একটু বেশি হতে পারে, যেখানে অরিজিনাল পার্টস ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, লোকাল দোকানে কম মূল্যে কাজ করানো সম্ভব, তবে সেখানে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নমানের পার্টস ব্যবহার হতে পারে, যা ফোনের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে। ডিসপ্লে ঠিক করার আগে আপনার ফোনের মডেল এবং সঠিক পার্টস যাচাই করে নেওয়াই ভালো।
শেষ কথাঃ মোবাইলের ডিসপ্লের দাম, বাংলাদেশে Vivo Y20 টাচ ডিসপ্লে মূল্য
আপনার মোবাইলের স্ক্রিন নষ্ট হয়ে গেলে কত খরচ হবে, সেটা অনেকটা আপনার ফোনের মডেল, নষ্টের মাত্রা আর কোথায় মেরামত করছেন, সেটার উপর নির্ভর করে। তাই, মেরামত করার আগে ভালো করে খোঁজখবর নেওয়া জরুরি। মনে রাখবেন, পুরোনো ফোন যদি হয় আর অন্য কোনো সমস্যাও থাকে, তাহলে নতুন ফোন কিনে ফেলাই ভালো হতে পারে। আপনার মোবাইলটাকে নতুন জীবন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক বিবেচনা করে দেখুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url